দৈনিক ইত্তেফাক- ২ জুন, রবিবার সংখ্যার নবম পৃষ্ঠা 'নতুন প্রজন্মের ভাবনা' এর মতামত অংশে প্রকাশিত লেখা
-https://www.ittefaq.com.bd/print-edition/opinion/59117/নাড়ির-টানে-ঘরে-ফেরার-সময়-চাই-সচেতনতা
-
নাড়ির টানে ঘরে ফেরার সময় চাই সচেতনতা
মো. এনামুল হাসান কাওছার ০০:০০, ০২ জুন, ২০১৯
মুসলিম উম্মাহর সর্বপ্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। পবিত্র মাহে রমজানের ক্রান্তিক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শাওয়ালের বাঁকা চাঁদের আগমনীবার্তা জানান দিচ্ছে ধরায়। ঈদের আনন্দ প্রিয় জন্মতীর্থে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে ঘরমুখো লাখো মানুষ পাড়ি দিচ্ছে দীর্ঘপথ।
রাজধানী ঢাকা কিংবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বিরতিহীন কাজের পর দীর্ঘ বিরতিতে যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষজন। চাহিদার বিপরীতে যানবাহনের জোগান সীমিত। টিকিটের হাহাকার স্থলপথ কিংবা জলপথে। তবু হার না মানা বাঙালির চিত্তে বাড়ি ফেরার আকুতির কমতি কোথায়?
এই আকুতি আর আবেগের সর্বউৎকৃষ্ট ব্যবহারে মরিয়া হয়ে বসে থাকা কিছু অসাধু চক্রের চিরাচরিত ধারার অত্যাধুনিক ফাঁদ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই ফাঁদে ফাঁসতে পারেন আপনি, আমি কিংবা নিকটস্থ যেকোনো কেউ। কালোবাজারি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি আবার আত্মীয় বেশধারী কোনো প্রতারক রমণীর খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য আপনার হয়তো নেই। কিন্তু সচেতন আর বুদ্ধিদীপ্ত কিছু পদক্ষেপ আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে, এমন অশুভ চক্রের কবল থেকে। অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চেপে বসে প্রতিবছর লাশ হয়ে ঘরে ফেরার ভয়াবহ চিত্র পরিলক্ষিত হয় প্রতিনিয়ত। বর্ণিল আনন্দের ফোয়ারার বার্তাবাহী ঈদ যেন নিমেষেই হাওয়া হয়ে মিলিয়ে না যায় আপনার জীবনের অধ্যায় থেকে। সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ট্রেনের ছাদে, ডিঙি নৌকাযোগে লঞ্চের ওপর কিংবা দূরপাল্লার বাসের ছাদে ভ্রমণের যৌক্তিকতা কতটুকু তা আপনার বিবেকের কাছেই প্রশ্ন ছুড়ে পরখ করে নিন! পরিবহন খাতে কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি দৃষ্টিগোচর হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ করুন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হোন। জীবনের চেয়ে পৃথিবীর বুকে দামি অন্য কোনো জিনিস খুঁজতে যাওয়াটা যেমন বোকামি তেমনি নাড়ির টানে ঘরে ফেরার সময় অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত তারই নামান্তর।
No comments:
Post a Comment